হোয়াইট হাউসের শুল্কসংক্রান্ত দাবি নিয়ে মুখ খুলল চীন

প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের কারণে চীন এখন থেকে ২৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের সম্মুখীন হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। বিশ্বের দুই শীর্ষ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুল্কযুদ্ধ থামছেই না।
এ বিষয়ে আজ বুধবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘চীন বারবার শুল্ক ইস্যুতে তার দৃঢ় অবস্থান জানিয়ে আসছে। শুল্ক যুদ্ধ শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
চীন তার বৈধ অধিকার ও স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যা সম্পূর্ণ যুক্তিসঙ্গত এবং আইনসঙ্গত। শুল্ক ও বাণিজ্য যুদ্ধের কোনো বিজয়ী নেই। চীন এই যুদ্ধ লড়তে চায় না, তবে এটা নিয়ে ভীতও নয়।’
এরপর ২ এপ্রিল বিশ্বের বহু দেশের পাশাপাশি চীনা পণ্যের ওপর আরো ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপান ট্রাম্প। চীন পাল্টা শুল্ক চাপালে ট্রাম্পও পাল্টা আরো ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করে। ফলে মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৪ শতাংশ। তার সঙ্গে পূর্বের ২০ শতাংশ শুল্ক যুক্ত করলে মোট শুল্ক দাঁড়ায় ১০৪ শতাংশে।
এরপরও আরো এক দফায় শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেন।
গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সেই শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করা হয়। পরদিন শুক্রবার (১১ এপ্রিল) শুল্ক বৃদ্ধি করে পাল্টা জবাব দেয় বেইজিংও। মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য করে। এরপর গতকাল মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের ফলে চীনা পণ্য এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ২৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের মুখোমুখি হবে।
এদিকে হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রকাশিত এক বিবৃতি বলা হয়েছে, মার্কিন পণ্যে প্রতিশোধমূলক পাল্টা শুল্ক আরোপের জবাবে চীনের ওপর ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শুল্ক বিষয়ে আলাপের জন্য বিভিন্ন দেশের ওপর পৃথকভাবে আরোপিত শুল্ক স্থগিত করা হলেও, চীনকে এই বিবেচনার বাইরে রাখা হয়েছে। তারা শুল্ক আরোপের পর বরং পাল্টা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পণ্য আমদানিতে এখন থেকে ২৪৫ শতাংশ শুল্ক সামলাতে হবে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে চীনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক চাপায় ট্রাম্প প্রশাসন।